সুইচবোর্ডে চার্জে রাখা মোবাইলটির পাশেই নিজের ৮ মাসের কন্যা সন্তানকে শুইয়ে রেখে পাশের ঘরে কাজ করছিলেন মা। এমন সময় প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে উঠে পুরো ঘর। প্রচণ্ড শব্দে ভয় পেয়ে কেঁদে ওঠে পরিবারের বড় মেয়ে নন্দিনী। বড় মেয়ের কান্না শুনেই দৌড়ে আসেন মা। পরের দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে পড়েন দুঃখিনী মা।
বিছানায় শুয়ে থাকা ৮ মাসের কন্যা সন্তানের পুরো শরীর রক্তাক্ত হয়ে আছে। মুখের এক পাশ পুড়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় দ্রুত হাসপাতালের উদ্দেশে নেয়া হয় ছোট্ট শিশুটিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ছোট্ট প্রাণটি জীবনযুদ্ধে হেরে যায়। আদরের সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় বাবা-মা।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারেলি জেলায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানান তারা। এদিকে, পুরো বিষয়টিতে পরিবারের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন বারেলি পুলিশ। পুলিশ জানায়, মৃত শিশুটির বাবা সুনীল কুমার শ্রমিকের কাজ করেন এবং মা কুসুম গৃহিণী।
তারা পরিবার নিয়ে যে বাসাটিতে থাকেন, সেটি এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। সোলার এবং বড় ব্যাটারির দিয়ে ঘরের বাতি, ফ্যান থেকে শুরু মোবাইল চার্জসহ যাবতীয় প্রয়োজন মেটায়। এজন্যই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত গণমাধ্যমে কথা বলেনি শিশুটির পরিবার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।